ভূমিকা : ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন।এই বিজয়
অর্জনের জন্য দেশবাসীকে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ঐতিহাসিক পটভূমি: ১৯৪৮ সাল থেকে বাঙালিদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের
কারণে এ দেশের ছাত্রসমাজ ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে পশ্চিমা শাসকদের ওপর
অসন্তোষ ধূমায়িত হতে থাকে। উর্দু ভাষাকে এ দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার
চেষ্টা করেছিল। ভাষা আন্দোলনের ধারায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘােষণা করেন, 'এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম' এরপর ২৬ মার্চ আবার
স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬
ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের কাল।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের অত্যাচারে গোটা
বাংলাদেশে সংগ্রামের আগুন জ্বলে ওঠে।
বাংলার শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতা মুক্তিবাহিনী গড়ে তুলে সামরিক
বাহিনীর সঙ্গে একাত্মতা ঘােষণা করে। দেশের অনেক মানুষ নিরুপায় হয়ে ভারতের
পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় গ্রহণ করে। সেখানে গড়ে ওঠে ত্রাণশিবির ও মুক্তিযোদ্ধাদের
প্রশিক্ষণকেন্দ্র। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে জলে-স্থলে, অন্তরীক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা
সর্বাত্মক যুদ্ধে পরাজিত করে শত্রুসেনাদের। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও অসংখ্য
মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বাঙালি ছিনিয়ে আনে বহু কাঙ্ক্ষিত
স্বাধীনতার সূর্য।
উপসংহার: বাংলাদেশ আজ মুক্ত। এই
অর্জন খুব সহজে ঘটেনি। লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমরা দেশমাতৃকাকে মুক্ত করেছি। এ বিজয়কে সম্মান
জানানোর একমাত্র উপায় হবে একটি দুর্নীতি মুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ।
0 Comments