প্রথম অধ্যায়
আমাদের পরিবেশ
১। পরিবেশের ওপর জীবের নির্ভরশীলতার দুটো উদাহরণ দাও।
উত্তর : পরিবেশের ওপর জীবের নির্ভরশীলতার দুটো উদাহরণ নিচে উল্লেখ করা হলো-
ক. প্রত্যেক জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন পানি। আর এ পানির জন্য জীব পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল।
খ. প্রত্যেক জীবের শ্বাসকার্য পরিচালনার জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। আর এ অক্সিজেনের জন্য জীব পরিবেশের উপাদান বায়ু ও উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল।
২। খাদ্যশৃঙ্খল বলতে কী বোঝো?
উত্তর : সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে। এই সবুজ উদ্ভিদকে খায় ছোট ছোট প্রাণী। আবার ছোট প্রাণীকে খায় বড় প্রাণী। এভাবে পরিবেশে খাদ্য ও খাদকের মধ্যে যেসব ধারাবাহিকতা বিদ্যমান, তাকেই খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
৩। সালোকসংশ্লেষণ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : সালোকসংশ্লেষণ হলো উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া- অর্থাৎ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলের সাহায্যে বায়ু থেকে গৃহীত কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং মাটি থেকে শোষিত পানি যে জটিল শারীরবৃত্তীয় জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে, তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
৪। খাদ্যজাল কী?
উত্তর : খাদ্যজাল : কোনো পরিবেশে অনেক খাদ্যশৃঙ্খল বিদ্যমান থাকতে পারে। এ খাদ্যশৃঙ্খলগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। পরিবেশে এটাই খাদ্যজাল নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় অধ্যায়
পরিবেশদূষণ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :১। প্রশ্ন : পরিবেশদূষণ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবেশ যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর তখন তাকে পরিবেশদূষণ বলে। বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশে পরিবেশকে দূষিত করে।
২। প্রশ্ন : বায়ুদূষণের ফলে কী হয়?
উত্তর : বায়ুদূষণের ফলে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। যেমন—পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, এসিড বৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত
হয়।
৩। প্রশ্ন : চার ধরনের পরিবেশদূষণ কী কী?
উত্তর : চার ধরনের পরিবেশদূষণ হলো—
(ক) বায়ুদূষণ (খ) পানিদূষণ (গ) মাটিদূষণ (ঘ) শব্দদূষণ
৪। প্রশ্ন : পরিবেশদূষণের উৎসগুলো কী কী?
উত্তর : পরিবেশদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো শিল্পায়ন।
শিল্পকারখানা সচল রাখতে বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন—তেল, গ্যাস,
কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারই পরিবেশদূষণের
প্রধান উৎস। এ ছাড়া যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, মলমূত্র ত্যাগ করা,
কফ-থুথু, হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা পরিবেশদূষণের উৎস।
৫। বর্তমানে পৃথিবীর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে পরিবেশদূষণ। কিভাবে এই দূষণ হয়?
উত্তর : বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে।
৬। পরিবেশ থেকে অনেক জীব এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কী?
উত্তর : খাদ্যশৃঙ্খল ধ্বংস।
৭। পল্টু খবরের কাগজ পড়ে জানতে পারল, হিমালয়ের হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। এতে কী ঘটবে?
উত্তর : সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে।
৮। সুমনদের বাড়ির ময়লা-আবর্জনা পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় বায়ু দূষিত হয়। এ ধরনের দূষণের প্রধান কারণ কী?
উত্তর : যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া।
৯। তোমার বাবা ফসল বেশি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করলেন। এটি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে পরিবেশের কোন দূষণ ঘটবে?
উত্তর : পানির দূষণ।
১০। ঢাকা শহরের মানুষ দূষিত বায়ু গ্রহণ করে। এর ফলে সৃষ্ট একটি রোগের নাম লেখো।
উত্তর : ফুসফুসের ক্যান্সার।
১১। অন্তুর মা সব সময় গ্রামের পুকুরে কাপড় ধৌত করেন। অন্তুর মায়ের কাজটি পুকুরের কী ক্ষতি করবে?
উত্তর : পানিদূষণ।
১২। কারখানার বর্জ্য তোমাদের পুকুরের পানিতে মেশার ফলে মাছগুলো মারা যেতে লাগল। কী কারণে এমনটি হলো?
উত্তর : পানি দূষিত হওয়ায়।
১২। গৃহকর্মী হামিদা ময়লা পুকুরের পানিতে গোসল করায় গায়ে চুলকানির লক্ষণ দেখা দিয়েছে। হামিদার কোন রোগ হয়েছে?
উত্তর : চর্মরোগ।
১৩। দূষিত পানি পান করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এ রকম একটি রোগের নাম লেখো।
উত্তর : কলেরা।
১৪। সামিদের বাবা কৃষিজমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এর ফলে তাদের জমিতে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : উর্বরতা নষ্ট হয়।
১৫। শিফা সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে দেখল একটি তেলবাহী জাহাজের দুর্ঘটনা জাহাজের সব তেল বনে ছড়িয়ে পড়ছে। এই তেল পরিবেশের কোন উপাদানটির দূষণ ঘটাবে?
উত্তর : পানি।
১৬। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফসলি জমিতে ফেলা হচ্ছে; ফলে উর্বরতা নষ্ট হয়। ওই জমির ফসল খেলে মানুষের কোন রোগটি হতে পারে?
উত্তর : ক্যান্সার।
১৭। কোলাহলপূর্ণ এলাকায় বসবাস করার কারণে রাশেদের নিদ্রাহীনতা দেখা দিয়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয় এমন আরেকটি সমস্যার নাম লেখো।
উত্তর : কার্যক্ষমতা হ্রাস।
১৮। হঠাৎ আওয়াজ, গোলমাল, বিভিন্ন কারণে পরিবেশে শব্দদূষণ দেখা দেয়। এ দূষণের ফলে আমাদের দেহে কোন অঙ্গটিতে সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : কানে।
৫। বর্তমানে পৃথিবীর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে পরিবেশদূষণ। কিভাবে এই দূষণ হয়?
উত্তর : বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে।
৬। পরিবেশ থেকে অনেক জীব এখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কী?
উত্তর : খাদ্যশৃঙ্খল ধ্বংস।
৭। পল্টু খবরের কাগজ পড়ে জানতে পারল, হিমালয়ের হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। এতে কী ঘটবে?
উত্তর : সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে।
৮। সুমনদের বাড়ির ময়লা-আবর্জনা পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় বায়ু দূষিত হয়। এ ধরনের দূষণের প্রধান কারণ কী?
উত্তর : যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া।
৯। তোমার বাবা ফসল বেশি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করলেন। এটি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে পরিবেশের কোন দূষণ ঘটবে?
উত্তর : পানির দূষণ।
১০। ঢাকা শহরের মানুষ দূষিত বায়ু গ্রহণ করে। এর ফলে সৃষ্ট একটি রোগের নাম লেখো।
উত্তর : ফুসফুসের ক্যান্সার।
১১। অন্তুর মা সব সময় গ্রামের পুকুরে কাপড় ধৌত করেন। অন্তুর মায়ের কাজটি পুকুরের কী ক্ষতি করবে?
উত্তর : পানিদূষণ।
১২। কারখানার বর্জ্য তোমাদের পুকুরের পানিতে মেশার ফলে মাছগুলো মারা যেতে লাগল। কী কারণে এমনটি হলো?
উত্তর : পানি দূষিত হওয়ায়।
১২। গৃহকর্মী হামিদা ময়লা পুকুরের পানিতে গোসল করায় গায়ে চুলকানির লক্ষণ দেখা দিয়েছে। হামিদার কোন রোগ হয়েছে?
উত্তর : চর্মরোগ।
১৩। দূষিত পানি পান করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এ রকম একটি রোগের নাম লেখো।
উত্তর : কলেরা।
১৪। সামিদের বাবা কৃষিজমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এর ফলে তাদের জমিতে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : উর্বরতা নষ্ট হয়।
১৫। শিফা সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে দেখল একটি তেলবাহী জাহাজের দুর্ঘটনা জাহাজের সব তেল বনে ছড়িয়ে পড়ছে। এই তেল পরিবেশের কোন উপাদানটির দূষণ ঘটাবে?
উত্তর : পানি।
১৬। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফসলি জমিতে ফেলা হচ্ছে; ফলে উর্বরতা নষ্ট হয়। ওই জমির ফসল খেলে মানুষের কোন রোগটি হতে পারে?
উত্তর : ক্যান্সার।
১৭। কোলাহলপূর্ণ এলাকায় বসবাস করার কারণে রাশেদের নিদ্রাহীনতা দেখা দিয়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয় এমন আরেকটি সমস্যার নাম লেখো।
উত্তর : কার্যক্ষমতা হ্রাস।
১৮। হঠাৎ আওয়াজ, গোলমাল, বিভিন্ন কারণে পরিবেশে শব্দদূষণ দেখা দেয়। এ দূষণের ফলে আমাদের দেহে কোন অঙ্গটিতে সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : কানে।
তৃতীয় অধ্যায়
জীবনের জন্য পানি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন১। পানির পাঁচটি উেসর নাম লেখো।
উত্তর: পানির পাঁচটি উত্স হলো—পুকুর, খাল, বিল, নদী ও
সমুদ্র।
২। পানি কিভাবে দূষিত হয়?
উত্তর: প্রাকৃতিক পানিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশে পানি দূষিত হয়।
৩। ছাঁকন কী?
উত্তর: ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হলো ছাঁকন।
৪। পানি জীবাণুমুক্ত করতে কত সময় ধরে ফোটাতে হবে?
উত্তর: ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ফোটাতে হবে।
৫। নিরাপদ পানি কী?
উত্তর: মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই হলো নিরাপদ পানি।
৬। পানিকে পুরোপুরি নিরাপদ করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর: পানিকে পুরোপুরি নিরাপদ করতে হলে পানি ফোটাতে হবে।
৭। হ্যালোজেন ট্যাবলেট কখন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের সময় যখন পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করা যায় না, তখন হ্যালোজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
৮। মেঘ কী?
উত্তর: সূর্যতাপে ভূপৃষ্ঠের পানি জলীয়বাষ্পে পরিণত হয় বা বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উঠে ঠাণ্ডা হয়ে ক্ষুদ্র পানিকণায় পরিণত হয়। এই ক্ষুদ্র পানিকণাগুলো একত্রিত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে।
পঞ্চম অধ্যায়
পদার্থ ও শক্তি
১। প্রশ্ন : শক্তির ৫টি রূপের নাম লেখো।
উত্তর : শক্তির ৫টি রূপের নাম হলো :
ক. বিদ্যুত্শক্তি খ. আলোকশক্তি গ. তাপশক্তি ঘ. শব্দশক্তি ঙ. যান্ত্রিকশক্তি।
২। প্রশ্ন : তাপ সঞ্চালনের তিনটি প্রক্রিয়া কী কী?
উত্তর : তাপ সঞ্চালনের তিনটি প্রক্রিয়া নিম্নরূপ—
ক. পরিবহন খ. পরিচলন গ. বিকিরণ
৩। প্রশ্ন : কিভাবে আলো সঞ্চালিত হয়?
উত্তর : আলো বিকিরণ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়।
৪। প্রশ্ন : পরমাণু কী?
উত্তর : পরমাণু হলো এমন সূক্ষ্ম কণা, যা খালি চোখে দেখা যায় না।
৫। প্রশ্ন : গিটার কোন ধরনের শক্তি উত্পন্ন করে?
উত্তর : গিটার শব্দশক্তি উত্পন্ন করে।
৬। প্রশ্ন : শক্তি কী?
উত্তর : কোনো কিছু করার সামর্থ্যই হলো শক্তি।
৭। প্রশ্ন : শক্তির মূল উৎস কী?
উত্তর : শক্তির মূল উৎস সূর্য।
৮। প্রশ্ন : সৌরশক্তি কী?
উত্তর : সূর্য থেকে পাওয়া শক্তি হলো সৌরশক্তি।
৯। প্রশ্ন : শক্তির রূপান্তর কাকে বলে?
উত্তর : শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। শক্তির রূপের এই পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলে।
১০। প্রশ্ন : সৌরশক্তিকে বিদ্যুত্শক্তিতে রূপান্তরিত করে কোনটি?
উত্তর : সৌরশক্তিকে বিদ্যুত্শক্তিতে রূপান্তরিত করে সৌর প্যানেল।
১১। প্রশ্ন : শক্তি সংরক্ষণের একটি উপায় লেখো।
উত্তর : গাড়ির বদলে যথাসম্ভব পায়ে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করে কোথাও যাওয়া।
১২। প্রশ্ন : পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য কিরূপ মাধ্যমের প্রয়োজন?
উত্তর : পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য কঠিন মাধ্যমের প্রয়োজন।
১৩। প্রশ্ন : পদার্থ কী?
উত্তর : পদার্থ হলো অসংখ্য অণুর সমষ্টি।
১৪। প্রশ্ন : পানির কয়টি অবস্থা?
উত্তর : পানির তিনটি অবস্থা। কঠিন, তরল, বায়বীয়।
১৫। প্রশ্ন : পদার্থ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যার ওজন আছে, জায়গা দখল করে এবং বলপ্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে তাকে পদার্থ
বলে।
সপ্তম অধ্যায়
স্বাস্থ্যবিধি
১। পানিবাহিত রোগ কাকে বলে?উত্তর : পানিবাহিত রোগ : যেসব রোগ জীবাণুযুক্ত দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে, তাকে পানিবাহিত রোগ বলে।
২। কোন মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়?
উত্তর : এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়।
৩। জলাতঙ্ক রোগ কোন প্রাণীর কামড়ে ছড়ায়?
উত্তর : জলাতঙ্ক রোগ কুকুরের কামড়ে ছড়ায়।
৪। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের কী কী পরিবর্তন হয়ে থাকে?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন হয়ে থাকে।
৫। সংক্রামক রোগের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর : সংক্রামক রোগের দুটি কারণ নিম্নরূপ—
(র) সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমন—গ্লাস, প্লেট ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
(রর) মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
৬। তিনটি সংক্রামক রোগের নাম লেখো।
উত্তর : তিনটি সংক্রামক রোগের নাম হলো—সোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গু ও ইনফ্লুয়েঞ্জা।
৭। ছোঁয়াচে রোগ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব রোগ রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে সংক্রমিত হয়, তাকে ছোঁয়াচে রোগ বলে।
৮। ডেঙ্গু কিভাবে ছড়ায়?
উত্তর : মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়।
৯। ডেঙ্গু প্রতিরোধের দুটি উপায় লেখো।
উত্তর : ডেঙ্গু প্রতিরোধের দুটি উপায় নিম্নরূপ—
(র) বাড়ির আশপাশে পানি জমতে পারে এমন জায়গা যেমন—কৌটা, টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদি পরিষ্কার রাখা।
(রর) শোয়ার সময় মশারি ব্যবহার করা।
১০। মশা কোথায় ডিম পাড়ে?
উত্তর : বাড়ির আশপাশের আবর্জনা যেমন—কৌটা, টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদি স্থানে জমে থাকা পানিতে মশা ডিম পাড়ে।
১১। বয়ঃসন্ধিকাল কী?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকাল হলো জীবনের এমন একপর্যায়, যখন আমাদের শরীর শিশু অবস্থা থেকে কিশোর অবস্থায় পৌঁছায়।
১২। বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন কোনটি?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলোর একটি হলো—দ্রুত লম্বা হওয়া।
১৩। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স কখন?
উত্তর : ৮-১৩ বছর।
0 Comments