সংকল্প  

কিশোর মন চিরকৌতূহলী। সে জানতে চায় বিশ্বের সবকিছু। 
আবিষ্কার করতে চায় অসীম আকাশের সব অজানা রহস্য। 
বুঝতে চায় কেন মানুষ অসীমে, অতলে, অন্তরীক্ষে ছুটছে, 
বীর কেন জীবন বিপন্ন করে মৃত্যুকে বরণ করছে। সে আরো 
জানতে চায় ডুবুরি কেমন করে গভীর পানিতে ডুব দিয়ে মুক্তা 
আহরণ করছেন, দুঃসাহসী অভিযাত্রী কেমন করে আকাশের 
দিকে উড়ে চলছে। কিশোর মন তাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বদ্ধঘরে 
আবদ্ধ না থেকে এই পৃথিবীর সবকিছু সে ঘুরে ফিরে দেখবে।

                         ফুটবল খেলোয়াড়  

কবির বন্ধু ইমদাদ হক একজন জাত খেলোয়াড়। তার 
হাতে-পায়ে-মুখের ক্ষতচিহ্ন দেখেই তাকে চেনা যায়। সন্ধ্যাবেলায় 
হাতে-পায়ে পট্টি বেঁধে সে বিছানায় শুয়ে থাকে, আর তার মেসের 
চাকর তার ভাঙা হাড়ে সেঁক দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যায়। ভাঙা 
হাতের ব্যথায় ইমদাদ হক সারা রাত চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি করে।
তার পঙ্গু দশা দেখে মেসের বন্ধুরা ভাবে, আর কোনো দিন হয়তো 
তারা ফুটবল টিমে ইমদাদ হককে দেখতে পাবে না।

    
                          ফেব্রুয়ারির গান

                                                   ১) 
লুত্ফর রহমান রিটন রচিত ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতায় বাংলা 
ভাষার প্রতি মমতা আর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। 
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে 
একটি স্মরণীয় দিন। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার 
দাবিতে ছাত্রসমাজ এই দিনে আন্দোলন শুরু করে। তখন 
ছাত্রদের মিছিলে পাকিস্তানি সরকার গুলি চালায়। সেই গুলিতে 
শহীদ হন সালাম, বরকত, শফিক, জব্বার ও নাম না জানা 
আরো অনেকে। আর বাংলা ভাষা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা ও স্বীকৃতি।


                                              ২)
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির 
জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা 
করার দাবিতে ছাত্রসমাজ এই দিনে আন্দোলন শুরু করে। 
ছাত্রদের মিছিলে পাকিস্তানি সরকার গুলি চালায়। 
সালাম, বরকত, শফিক, জব্বার ও আরও অনেক 
ছাত্র শহিদ হন। কবিতাটিতে বাংলা ভাষার প্রতি মমতা 
আর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে।

                                  শব্দদূষণ

শহরে নানা রকম শব্দ আর হইচই লেগেই থাকে। 
সিডি, টিভি, টেলিফোন, ফেরিঅলা আর শিশুদের 
কোলাহলে ঠিকমতো ঘুম দেওয়া যায় না। শহরে 
শান্তিতে বসবাস করা বেশ মুশকিল। ফলে 
জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে গ্রামের 
জীবন অনেক সুন্দর ও শান্তিময়। গ্রামে পাখির 
কিচিরমিচির শব্দ ও সুমধুর সুরে মন ভরে যায়।

                                 স্বদেশ 

                                      ১)
আহসান হাবীবের ‘স্বদেশ’ কবিতায় নদীমাতৃক বাংলাদেশের 
প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। 
সুজলা-সুফলা এই দেশের মাঠে মাঠে রয়েছে ফসলের 
ক্ষেত। বিভিন্ন পেশাজীবী নানা রকম পোশাক পরে 
নিজেদের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যারা মাঠের মানুষ 
অর্থাৎ কৃষক, তারা মাঠে যায় কৃষিকাজ করতে আর হাটের 
মানুষ হাটে যায়। একটি ছেলের এই দৃশ্য দেখতে দেখতে 
সারাটি দিন কেটে যায়। 

                                   ২)
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, অর্থাৎ এ দেশে সবখানেই 
নদী দেখা যায়। ‘স্বদেশ’ কবিতায় বাংলাদেশের 
প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। 
একটি ছেলে সেই ছবি দেখছে ও তার মনের ভেতরে ধরে 
রাখছে। নদীর জোয়ার, নদীর তীরে নৌকা বেঁধে রাখা, গাছে 
গাছে পাখির কলকাকলিÑ সবই ছেলেটির মনে নিজের 
দেশের জন্য মায়া-মমতা ও ভালোবাসার অনুভূতি জোগাচ্ছে।


                      ঘাসফুল



                                   ১)
জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র রচিত ‘ঘাসফুল’ কবিতায় ঘাসফুলগুলো 
নিজেরাই কথা বলেছে। এই ছোট ঘাস ফুলগুলো হাওয়ায় 
তাদের মাথা দুলিয়ে জীবনকে উপভোগ করে। ফুল ছিঁড়ে, 
পায়ের নিচে পিষে ফেলে মানুষ যেন তাদের কষ্ট না 
দেয়—সেই মিনতি তারা করেছে। শুধু ঘাসফুলের সৌন্দর্য 
দেখে মানুষ যেন মনে মনে খুশি হয়, এটাই তারা চায়। 
সূর্য কিরণে ফুলগুলোও কেমন হেসে ওঠে আর দুলে দুলে 
মাথা নাড়ে, তা দেখেই যেন মানুষ আনন্দ পায়, এটাই 
ঘাসফুল প্রার্থনা করে।


                                ২)
ঘাসের ছোট ছোট ফুল পরম আনন্দে বেঁচে আছে। 
জীবনকে ওরা উপভোগ করছে হাওয়ার দোলায় 
আর সূর্য কিরণের মায়ায়। গাছে ফুল ফুটলে আনন্দ 
পাওয়া চাই। ফুল ছিঁড়ে কিংবা পায়ের নিচে পিষে ওদের 
কষ্ট দেওয়া ঠিক নয়। ফুল ছেঁড়ার অর্থ ফুলকে মেরে 
ফেলা। গাছের যেমন প্রাণ আছে, ফুলেরও তেমনই প্রাণ আছে।


  তথ্য সুত্রঃ কালের কন্ঠ, নয়া দিগন্ত  ও প্রথম আলো